গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কা পাত্তা পায়নি। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে কিছুটা লড়াই তারা করেছিল, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে ৪ উইকেটে জিতে তিন ওয়ানডের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করলো ভারত।
১৭তম ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১ উইকেটে ১০২ রান। তারপর তারা যেন ইনিংস ছুঁড়ে দিয়ে এলো। পরের ৬ উইকেট গেলো মাত্র ৫০ রানে। লোয়ার অর্ডারের প্রতিরোধে ২১৫ রান হলো বটে, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। ৪০তম ওভারে অলআউট লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কিছুটা ভোগাতে পেরেছে। একটা পর্যায়ে ৮৬ রানে তাদের চার উইকেট তুলে নেন তারা। কিন্তু রানরেট ছিল ভালোই এবং তাদের ব্যাটিং লাইন ছিল শক্তিশালী। হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুল পঞ্চম উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে রানতাড়া সহজ করে দেন। রাহুল ১০৩ বলে অপরাজিত ৬৪ রানে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন মূলত ভারতের বোলাররা। কুলদীপ যাদব শ্রীলঙ্কা ধসে বড় ভূমিকা রাখেন কুশল মেন্ডিসের উেইকেট নিয়ে। এরপর চারিথ আসালানকা ও দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে ১০ ওভারে এই স্পিনারের অর্জন ৫১ রানে ৩ উইকেট। পেসার মোহাম্মদ সিরাজও বোলিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে নতুন বল হাতে। ৩০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার উমরান মালিক শেষ দিকে দুটি উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক হওয়া নুভানিদু ফার্নান্ডো। ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করলেও এদিন ওপেনিং করেন। ৬৩ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে তার ব্যাটে। দ্বিতীয় সেরা ৩৪ রান করেন কুশল। ত্রিশের উপরে আর একটি ইনিংস আছে কেবল দুনিথ ভেল্লালাগের (৩২)।
লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় সেরা ৩৬ রান করেন হার্দিক। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। ৪৪তম ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ভারত। ৬ উইকেটে তারা করে ২১৯ রান।