আসামী হলেন খালেদা জিয়া ও কোকোর স্ত্রী-মেয়েরা

SHARE

khaleda shormilaসোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা ‍জিয়া এবং তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আসামী করেছেন আদালত।

ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী সোমবার সোনালী ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ মামলায় বিবাদী করেন।

এর আগে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা এবং স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য গত ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী হোসনে আরা বেগম জানান, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সিভিল মামলায় কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। সে অনুয়ায়ী আমরা ৮ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান ও দুই কন্যাকে আসামী করার জন্য আদালতে আবেদন করি।

এ মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। এর পর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।

২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

গত ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।