ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির জয়ে বাধ সাধলেন পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়ন বেনফিকার গোলরক্ষক। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির দুর্দান্ত গোলের পরও সৌভাগ্যের গোলে তাদের রুখে দিল বেনফিকা।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
ঘরের মাঠে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলের মন্ত্র নিয়ে নামে পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়নরা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে ম্যাচ।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই গনসালো রামোসের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এর মিনিট ছয়েক পরেই দূর থেকেই শট নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড গনসালো রামোস। এবার বল সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। প্রথমবারের মতো গোল পোস্ট বরাবর শট নেয় ফরাসি দলটি। তবে মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক শট বাধা পায় দেয়ালে। দুই মিনিট পরে পাল্টা আক্রমণে যায় বেনফিকা। তবে এ যাত্রাতেও প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান দোন্নারুম্মা। দাভিদ নেরেসের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। এমবাপেকে বল বাড়িয়ে সামনের দিকে ছুটে যান মেসি। নেইমারের পা ঘুরে ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ বাঁকানো শটে বাকিটা সারেন আর্জেন্টাইন তারকা।
চলতি আসরে লিওনেল মেসির দ্বিতীয় গোল এটি। বেনফিকার বিপক্ষে এই প্রথম গোল।
একের পর এক আক্রমণে ৪২তম মিনিটে সুফল পায় বেনফিকা। এনসো ফের্নান্দেসের ক্রসে লাফিয়েও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি গনসালো রামোস। কিন্তু লাইনেই থাকা ডিফেন্ডার দানিলো পেরেইরার গায়ে লাগে বল। আর দিক পাল্টে জাল কাঁপায় বল। সমতায় ফেরে বেনফিকা। কিছুই করার ছিল না পিএসজির গোলরক্ষকের।
দ্বিতীয়ার্ধেও মাঠে নেমে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে দুই দলই। ৪৮তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির শট গোলরক্ষক কোনোমতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর নেইমারের দর্শনীয় বাইসাইকেল কিকও ব্যর্থ হয়। বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
এর মিনিট তিনেক পরেই হাকিমির কাট ব্যাক মাঝপথেই কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক ওদিসিয়াস ভ্লাকোদিমোস। এরপর আক্রমণ কমিয়ে রক্ষণে মনযোগ দেয় বেনফিকা।
আর রক্ষণের সেই দেয়াল ভাঙতে পারেনি পিএসজি। ফলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।