সিরিজে সমতায় ফিরল আফগানিস্তান

SHARE

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে আফগানিস্তান। অথচ প্রথম তিন ম্যাচেই খুঁজে পাওয়া যায়নি সেরা তারকা রশিদ খানকে। ব্যাট কিংবা বল, কোনো বিভাগেই পারফর্ম করতে পারেননি এই ক্রিকেটার।

অবশেষে দ্যুতি ছড়িয়েছেন চতুর্থ ম্যাচে এসে। আর তাতেই আইরিশদের বিপক্ষে ২৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে মোহাম্মদ নবি অ্যান্ড কোং। সেইসঙ্গে টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-২ সমতায় ফিরেছে পিছিয়ে পড়া আফগানিস্তান।

সোমবার বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে খেলা হয়নি পুরো ২০ ওভার। বৃষ্টির কারণে ১১ ওভারে নামিয়ে আনা হয় কুড়ি ওভারের চতুর্থ ম্যাচ।

কার্টেল ওভারের এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়ে আফগানিস্তান। যার নেতৃত্বে ছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান। তবে শেষের দিকে ক্যারিশমা দেখিয়েছেন রশিদ খান। আফগান ঝড়ের শুরুটা করেছিলেন অবশ্য রহমানুল্লাহ গুরবাজ, যদিও নিজের ইনিংসটা বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি এই ওপেনার।

প্রায় অর্ধেক ওভার কমে আসা এই ম্যাচে উড়ন্ত শুরু পায় আফগানিস্তান। তিন ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান তোলেন হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ১৩ বলে ২৪ রান করে গুরবাজ ব্যারি ম্যাকার্থির শিকার হলে ভাঙে এই জুটি।

আর চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে ইব্রাহিম জাদরান ও জাজাই ফিরে গেলে ধাক্কা খায় সফরকারীরা। সুবিধা করতে পারেননি নবিও। সাজঘরে ফেরার আগে ৫ রান করেন আফগান অধিনায়ক।

তবে এতেও দমে যাননি নজিবুল্লাহ, অন্যপ্রান্তে যেন টর্নেডো চালিয়ে যান এই জাদরান। ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৫০ রানে বিদায় নেন মারকুটে এই ব্যাটার। তার আগে ২৫ বলে ৪টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছয় মারেন জাদরান।

আর অপরাজিত থাকা রশিদ খান ১০ বল মোকাবেলায় ৩ ছক্কা ও একটি হাঁকিয়ে করেন ৩১ রান। যাতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান জড়ো করে আফগানিস্তান। গ্যারেথ ডেলানি নেন ৩টি উইকেট।

জবাবে ১০৫ রানে অলআউট হয় বালবির্নির আয়ারল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জর্জ ডকরেল। এই তারকা অলরাউন্ডারের ২৭ বলের ইনিংসটা সাজানো ছিল ৪টি চার এবং ২টি ছয়ের মারে।

এ ছাড়া পল স্টার্লিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। ১৫ রান করেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি।

২১ রান খরচায় ম্যাচসেরা রশিদের শিকার ২ উইকেট। তবে বল হাতে সবচেয়ে সেরা পারফর্ম করেন ফরিদ আহমেদ। মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এইপেসার।