পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশের চাকরি অন্য চাকরির মতো নয়। এই চাকরির মাধ্যমে আমরা ১৮ কোটি জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করি। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করি। যাতে করে দেশে অর্থনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন সংগঠিত হয়। দেশের স্বার্থ রক্ষায় পুলিশবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেনৈ, পুলিশ জনগণের সেবার বাহিনী। আমরা খারাপ কোনো কাজ করে খবরের শিরোনাম হতে চাই না। আমাদের সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে খবরের শিরোনাম হতে চাই।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানই নয়, বাংলাদেশ পুলিশ একটি গৌরবের নাম। দেশের সার্বিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশের আতœত্যাগ অপরিসীম। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রধান কাজ দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন এবং স্বাধীনভাবে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে ইতোমধ্যেই পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা দেখিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। জনগণের মাঝে সঠিক সেবা দিতে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পুলিশপ্রধান বলেন, সমাজ পরিবর্তনশীল। তাই অপরাধের ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। এ জন্য পুলিশবাহিনীর মধ্যে আধুনিকতা নিয়ে আসা হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে-৯৯৯ চালু করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে পুলিশকে গড়ে তুলতে নিয়োগ পরীক্ষার আধুনিকায়ন করে কনস্টেবল নেওয়া হয়েছে। এখানে যোগ্যরা সুযোগ পেয়েছে। এখন যোগ্যতার ভিত্তিতেই পুলিশে পদোন্নতি ও জাতিসংঘে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন পুলিশপ্রধান। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন তিনি।
৬ মাস মেয়াদি এ মৌলিক প্রশিক্ষণে ৪৫৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়। প্রশিক্ষণরতদের মধ্যে আইন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন বিশাল এবং মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ হন সিয়াম সিদ্দিকী সাগর।