
সাঙ্গাকারা ১২৪ এবং দিলশান ১০৪ রানের ইনিংস খেলার পথে দুজনের গড়া ১৯৫ রানই লংকানদের রানের পাহাড়ে উঠিয়ে দেয়।
শুরুটা যদিও খুব একটা স্বস্তির ছিল না। ওপেন করতে নেমে ব্যাটে বল মিলাতে হিমশিম খাওয়া লাহিরু থিরিমান্নেকে শ্রীলংকা হারায় পঞ্চম ওভারেই। ২১ বলে ৪ রান করে হাফফাঁস করতে থাকা থিরিমান্নে অ্যালাসদাইর ইভান্সের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন প্রিস্টন মমসেন।
২১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দিলশানের সঙ্গে জুটি গড়েন সাঙ্গাকারা। পঞ্চাশ ওভারে ৩৬৩ রান তোলার অধিকাংশ কাজ করে যায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ৩৫তম ওভারে যখন দিলশান জশ ড্যাবের শিকার হন, তার আগেই ৯৭ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার ১০৪ রানের ইনিংস ছিল ১০ চার আর ১ ছয়ে গড়া।
তার অন্যপাশে আশ্চর্য ধারাবাহিকতা ধরে রেখে যথারীতি সেঞ্চুরি করে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারাও। দিলশানের পরের বলেই সেঞ্চুরি ছোঁয়া সাঙ্গাকারা শেষ পর্যন্ত থামেন ১২৪ রান করে। ৯৭ বলে খেলা ইনিংসটিতে ১৩ চারের পাশে ৪টি ছয়।
মাহেলা জয়বর্ধনের পরের বলেই ইনিংসের তৃতীয় শিকার হিসেবে কুমার সাঙ্কাকারাকেও তুলে নেন জশ ড্যাবে। সেই সঙ্গে হয়ে গেছেন চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও। এক উইকেট কম ১২ উ্ইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট।
২৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর বাকিটা সময় স্কটিশ বোলাররা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে সুযোগ পান। তবে ম্যাথুজের ২০ বলে খেলা ৫১ রানের টর্নেডো ইনিংস, কুশল পেরেরার ১৩ বলে ২৪ আর কুলাসাকেরার ১৭ বলে ১৮ রানের সুবাদে সাড়ে তিনশো পেরোয় শ্রীলংকার ইনিংস।