বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠান হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল। আর জিয়াউর রহমান ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে।
কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে এজন্য বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেননি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, কিন্তু লক্ষ্য করবেন বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, এরপর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও দুই দফা ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু হত্যাকাণ্ডের বিচার করে নাই।
আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ইদানিং বিএনপি নামসর্বস্ব দল, যে সব দলের সভাপতি আছে, কিন্তু সাধারণ সম্পাদক কে তা কেউ বলতে পারে না, তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। বিষয়টা হাস্যকর। এসব সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলের সঙ্গে বৈঠক করে সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া আর কী হবে আমি জানি না।
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ফটো সাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অনেকে একটি ছবির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন। আমি আশা করবো, আজকে যে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে, আকাশ থেকেও কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ নেই। মানুষকে সত্য জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের এই চিত্রগুলোও আপনাদের আলোকচিত্রে উঠে আসা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের নানা ঘটনা ও মুহূর্তকে নতুন প্রজন্মসহ আমাদের মাঝে তুলে ধরে সঠিক ইতিহাস বিকাশে ফটো সাংবাদিকরা ভূমিকা রেখেছেন।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য রাখেন।




