ছোটবেলা থেকেই আমি শামীম ওসমানের ভক্ত: পলক

SHARE

বিশেষণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শামীম ওসমান আমার বড় ভাই। আমি শৈশব-কৈশোর থেকে শামীম ভাইয়ের ভক্ত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে নম পার্কে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, শামীম ভাই আমাকে বলেছেন নারায়ণগঞ্জের জন্য কিছু করতে। আমি আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের কাছে আবেদন করেছিলাম। আপনারা দেখছেন অনেক জেলায় হওয়ার কথা থাকলেও একসঙ্গে হচ্ছে না। কারণ সব জেলায় শামীম ওসমানের মতো লোক নেই। শামীম ওসমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা চমৎকার একটি জায়গা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বইয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ওসমান পরিবারের কথা আমি পড়েছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কেউ তো কখনো এত উন্নয়ন পরিকল্পনা দেননি। দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। তাই আমাদের তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এক সময়ে বাংলাদেশে একটি মোবাইল কোম্পানি ছিল, যা বিএনপির একজন মন্ত্রীর মালিকানা ছিল। তখন একটি কোম্পানি থাকায় অনেক বেশি টাকা নেওয়া হতো কলচার্জ। পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একের পর মোবাইল কোম্পানি আসায় প্রতিযোগিতা শুরু হলে সবকিছুর দাম কমে আসে। ২০০৪ সালে যখন স্যামসাং কোম্পানি বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তখন বিএনপির হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তারা তখন ফিরে গিয়ে ২০০৭ সালে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করেছিল।

মন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের বলেছিলেন, একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে যদি আহারের জন্য একটি মাছ দেন তাহলে তার এক বেলার খাবার হবে অথচ যদি তাকে মৎস্য শিকার করা শিখিয়ে দেন তাহলে তার সারাজীবনের খাবার হবে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১ জেলা) প্রকল্পের পরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।