যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে দু-একদিনের মধ্যেই সমাধান: সচিব

SHARE

দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় অন্যান্যবারের তুলনায় এবার সড়কে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যানজটের আরেকটি কারণ সড়কে চলমান উন্নয়নকাজ।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেছেন, বিআরটি (বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) একটি চলমান প্রকল্প। চলমান প্রকল্পে কিছু সমস্যা থাকে। ঈদের প্রাক্কালে নির্মাণকাজের জন্য যেন ট্রাফিক কনজেশন (যানজট) না হয়, এটাকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে মন্ত্রী এবং সরকার জোর দিয়েছেন। যানজটপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। যে সমস্যাগুলো রয়েছে আগামী দু-একদিনের মধ্যে সেগুলো রিমুভ (সমাধান) করা হবে।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিআরটি এবং নাওজোড় এলাকায় সাসেক (সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন) প্রকল্প পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সচিব।

ঈদে লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কে এসব গাড়ি চলাচল বন্ধে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, পোশাক কারখানা একযোগে ছুটি হলে পোশাক শ্রমিকরা যেনতেনভাবে বাড়ি ফিরতে চান। সেক্ষেত্রে তখন অসাধু তৎপরতা বাড়ে এবং লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় আনা হয়। পোশাক কারখানাগুলো ধাপে ধাপে ছুটি হলে এ সমস্যা থাকবে না।’

এসময় সচিবের সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন পাঠান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, বিআরটি প্রকল্প পরিচালক ইলিয়াস আহমেদ, গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল আলম, গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।