গত আট দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতভুবনে রাজত্ব চালানো আশা ভোঁসলে দীর্ঘ জীবনে ব্যক্তিগত ও পেশাগত- দু’ দিক থেকেই নানারকম টানাপোড়েন ও ঘাত-প্রতিঘাত দেখেছেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিরতি ছাড়াই প্রতি রাতেই তিনি ডায়েরিতে তার জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি লিপিবদ্ধ করেছেন।
জানা গেছে, এই ডায়েরি অবলম্বনেই একটি আত্মজীবনী প্রকাশ করবেন আশা। সেই আত্মজীবনীতে বোনদের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা থাকবে, বিশেষ করে পেশাজীবনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুরের আরেক সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের কথা; সুরকার স্বামী রাহুল দেব বর্মনের কথা; তার সন্তান হেমন্ত, বর্ষা ও আনন্দের কথা এবং থাকবে অন্যান্য আরো অনেক কিছুর পাশাপাশি রান্নার প্রতি তার ভালোবাসার কথা।
ডায়েরিতে আশার চিন্তাভাবনাগুলো বেশ ছন্নছাড়া ও অসংলগ্নভাবে ফুটে উঠেছে। তাই এগুলোকে সাহিত্যের আকার দিতে সুর সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ এবং একইসঙ্গে হিন্দি, মারাঠি ও ইংরেজি ভাষায় সমান দক্ষ ওয়াশিংটনবাসী একজন অধ্যাপক এরই মধ্যে বেশ উঠেপড়ে লেগেছেন।
নিজের আত্মজীবনীমূলক এই বইটির উপর আশা কাজ করছেন প্রায় এক বছর ধরে। আশার ছেলে আনন্দ এই খবর নিশ্চিত করলেও আত্মজীবনীটি কী নামে প্রকাশিত হবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।