বয়স তখন ১৭-১৮। ম্রুণাল ঠাকুরকে তাড়িয়ে বেড়াত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার ভয়। তিনি বলেন, ‘ভাবতাম, নারী হয়ে জন্মেছি, তাই গৃহিণী হয়েই জীবন পার করতে হবে। ভেবেছিলাম, বয়স ২০ হলেই আমাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সন্তানের জন্ম ও লালনপালনেই জীবন শেষ।’ সেই ম্রুণাল আজ পর্দার জনপ্রিয় মুখ। খুব অল্প বয়স থেকেই শোবিজের নানা অঙ্গনে অডিশন দিতে শুরু করেছিলেন ম্রুণাল। সাহস হারিয়েছেন অনেকবার। তাঁর কথায়, ‘আমি লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতাম। প্রায়ই ট্রেনের দরজার পাশে দাঁড়াতাম। হতাশায় ভাবতাম, ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেব।’
একদিকে মাথায় অভিনয়ের পোকা, অন্যদিকে মুম্বাইয়ে বাড়িভাড়া, খাওয়ার খরচ জোগাড়ের চিন্তা। সব বাধা অতিক্রম করে একদিন ম্রুণাল ঠিকই পৌঁছে যান নিজের লক্ষ্যে। প্রথমে মডেলিং, তারপর ছোট পর্দা। মারাঠি সিনেমা হয়ে বলিউড। ছোট পর্দার ‘কুমকুম ভাগ্য’ থেকে হলিউড তারকা ডেমি মুরের সঙ্গে সিনেমা। ম্রুণাল ঠাকুরের ক্যারিয়ারের বাঁক দেখলে মনে হবে, তিনি যেন লটারি পেয়েছেন! হৃতিক রোশন, ফারহান আখতারের মতো অভিনেতাদের বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।
১৪ এপ্রিল আসছে শাহিদ কাপুরের বিপরীতে ‘জার্সি’ সিনেমা। ম্রুণাল বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। স্কুলজীবনে বন্ধুরা ঝগড়া করতাম শাহিদ কার বয়ফ্রেন্ড তা নিয়ে। আমাদের সেই কল্পনা সত্যি হলো আমার বেলায়। সিনেমায় আমি শাহিদের নায়িকা হলাম। প্রথম যেদিন শাহিদের সঙ্গে দেখা হলো, আনন্দে রীতিমতো লাফাচ্ছিলাম। তাঁর প্রতি আমার এত ফ্যাসিনেশন যে শাহিদের বাবা পঙ্কজ কাপুর স্যারকেও জ্বালাতাম শাহিদের ছোটবেলার গল্প শোনার জন্য। পঙ্কজ কাপুর এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমাদের রসায়ন দর্শক গ্রহণ করবে বলে ভরসা আছে।’ম্রুণালের সুদিন চলছে বলাই যায়।