আম্পায়ারিং-স্লেজিং নিয়ে অভিযোগ করবে বাংলাদেশ

SHARE

ডারবান টেস্টে ২২০ রানে হারের পর এবার বিস্ফোরক বাংলাদেশ দল। যদিও টেস্ট চলাকালীনই সরব হন দলটির অনেকেই। আম্পায়ারিং ইস্যুতে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানান, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, নির্বাচক হাবিবুল বাশার এমনকি পারিবারিক কারণে টেস্ট সিরিজে না থাকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে পর আম্পায়ারিং ইস্যুর সঙ্গে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্রা ছাড়ানো স্লেজিংয়ের বড়সড় অভিযোগ বাংলাদেশ দলের। যা নিয়ে আইসিসির দ্বারস্থ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের সঙ্গে থাকা বোর্ড পরিচালক জানান ইউনুস বলেছেন, ‘ওয়ানডে সিরিজ শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের ম্যানেজার নাফীস ইকবালের সঙ্গে শুরুর দিকে বাজে আচরণ করেছিল ম্যাচ রেফারি কিন্তু যখন আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম তখন সে নরম হয়েছিল। এবার এই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আরেকটি অফিসিয়াল অভিযোগ দিব।’

স্লেজিংয়ের সঙ্গে চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে আম্পায়ারিং ছিল ভুলে ভরা। প্রথম দুই সেশনে তা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বেশিরভাগই গেছে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে। এজন্য দুই ফিল্ড আম্পায়ার ম্যারাইস এরাসমাস ও আড্রিয়ান হোল্ডস্টকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অভিযোগ জানাবে বিসিবি।

অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং সব সময় হয়। স্লেজিং হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়, এটা খুব খারাপ। আমার মনে হয়েছে, মাঝেমধ্যে ওরা গালাগালি করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ার ওইভাবে খেয়াল করেননি। আমার মনে হয়, আইসিসির উচিত, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। কোভিডের আগে যেমন ছিল, তেমন।’

জালাল ইউনুসের ভাষায়, ‘অবশ্যই দুই দলের দিক থেকেই স্লেজিং হয়েছে, তবে তারা শুরু করেছিল এটি। আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগও করেছি আমরা। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে, কিন্তু অবশ্যই নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনা উচিত আইসিসির।’