বলিউড ভাইজান সালমান খানের হাত ধরেই বিটাউনে যাত্রা শুরু হয় জেরিন খানের। বিটাউনে শোনা যায় ভাইজানের সিনেমার মাধ্যমে যার বলিউডে অভিষেক হয় তার আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয় না। সালমান খানের ‘বীর’ সিনেমার মাধ্যমে জেরিন খানের অভিষেক হয়। কিন্তু সালমান খানের মত বড় স্টারের সাথে বলিউডে অভিষেক স্বপ্নের হলেও বক্স অফিস সেই স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটায়।
মুখ থুবড়ে পড়েছিলো জেরিন খানের সিনেমাটি। তখন অনেক চলচ্চিত্র সমালোচক জেরিনের অভিনয়ের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
কিন্তু সমালোচনা ও প্রথম ছবির ব্যর্থতার পরও থেমে থাকেননি জেরিন। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে। পরে ব্লকবাস্টার ‘রেডি’ ছবিতে একটি আইটেম গানে কোমর দুলিয়ে নজর কাড়েন তিনি। সেই সুবাদে ‘হাউজফুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় কিস্তিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। ছবিটির বক্স অফিসে ভালো আয় করে। এরপর বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন ঠিকই, কিন্তু দাগ কাটতে পারেননি। দক্ষিণী সিনেমাতেও কাজ করেছেন। সেখানেও সফল হননি।
অবশেষে সেসব নিয়ে কথা বলেছেন লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আসলে বিটাউনে সফল হতে হলে নেওয়ার্কিং অত্যন্ত জরুরি। আর এই কাজটাই আমি কখনও করতে পারিনি।
দেশটির গণমাধ্যমকে জেরিন বলেন, বলিউডে ব্যর্থতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, এ ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে খুব স্পেশাল হতে হবে। সমস্ত ফিল্মি পার্টিতে যাওয়া বা লোকজনের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করতে জানাও জরুরি। এসব পার্টি যে আমাদের কাজের জন্য কতটা জরুরি— সেটাও দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, আজকালের ট্রেন্ডই হলো, সকলের বন্ধু। আর সকলেই নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করছেন। আমি কখনও ইন্ডাস্ট্রির কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করিনি। ফলে কাজের সুযোগ হারিয়েছি।
জেরিন বলেন, বলিউডে লোকজন যদি নিজেদের বন্ধুদেরই ছবিতে সুপারিশ করতে থাকেন, তবে আমাদের মতো মানুষ কীভাবে কাজ পাবেন?
বলিউড সুন্দরীর দাবি, তাকে কেউ বলিউডে সুযোগ দিতে চান না। সবাই তাকে সুন্দর মুখ হিসেবেই চেনেন। এর বাইরে তাকাতে রাজি নন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বীর সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় জেরিন খানের। এরপর হাউসফুল ২, হেট স্টোরি ৩,আকসার ২,১৯২১ ও নান রজভাগা পগিরেন নামে তামিল ছবি ও ওটিটি প্লাটফর্মে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে।