ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়কে ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেন বঙ্গবন্ধু

SHARE

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়কে ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেন। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন।

তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে অর্জিত হয় রাষ্ট্রভাষা বাংলা, যা ছিল আন্দোলন সংগ্রামে বাঙালিদের প্রথম বিজয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় মহান বিজয়। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পাই আমরা।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সাম্প্রদায়িক শক্তি ও স্বাধীনতার বিরোধীরা সক্রিয় আছে। নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাকিউন নাহার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। পৃথিবীতে বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা মায়ের ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে ও প্রাণ দিয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে লাকী ইনাম বলেন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয় স্বাধীনতার সংগ্রামের। যার নেতৃত্বে ছিলেন মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ আমরা স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান মেহতাব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু একাডেমির আয়োজনে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমির শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে।