এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানালেন ন্যাটোপ্রধান

SHARE

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ন্যাটোপ্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে এরদোয়ানের ব্যক্তিগত উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

টুইটে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাধান (ইউক্রেন সংকটের) খুঁজে বের করতে সক্রিয় সমর্থন এবং ব্যক্তিগত তৎপরতার জন্য আমি তাকে (এরদোয়ান) ধন্যবাদ জানাই এবং ইউক্রেনের প্রতি তুরস্কের জোরালো সমর্থনকে স্বাগত জানাই। ন্যাটো সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’

এ মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেন সফরে যান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান। রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতায় তুরস্কের আগ্রহের কথা জানান এরদোয়ান। জানান, সংকট নিরসনে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।

এর আগে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কখনো যুদ্ধ চায় না তুরস্ক। এটি এই অঞ্চলের জন্য কখনো মঙ্গলজনক কিছু নয়। ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে আমরা এমন কিছু চাই না। আমরা এটা গ্রহণ করবো না। আশা করি শান্তিপূর্ণভাবেই চলমান সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারব।

ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই দৃশ্যত তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান মস্কোর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলেরও বিরোধী আঙ্কারা।

এদিকে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। অন্যদিকে ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। এসব ড্রোন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তুর্কি ড্রোন রফতানির এ ঘটনা মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
খবর আনাদোলু এজেন্সি