সবাইকে সঙ্গে নিয়েই শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করবো: ডিপজল

SHARE

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবার ২১২ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গত কমিটিতেও তিনি একই পদে ছিলেন।

পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ডিপজল বলেন, নির্বাচন করার আগ্রহ আমার কম। নির্বাচন না করলেও আমার চলে। তারপরও নির্বাচন করি, যেন কমিটিতে থেকে সবাইকে নিয়ে সাংগঠনিকভাবে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করতে পারি। কমিটিতে যারা আছেন, তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে সংগঠনকে কার্যকর ও এগিয়ে নেওয়ার কাজ করার জন্যই নির্বাচনে দাঁড়াতে হয়।

তিনি বলেন, আমি সবসময়ই চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাশে আছি এবং থাকব। যতদিন বেঁচে থাকব, তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। আমি চলচ্চিত্র পরিবারের একজন। পরিবারের সদস্য হিসেবে অন্য সবার সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু পারি, তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি এবং করবো।

সভাপতি পদে নির্বাচন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সিনেমা নির্মাণ নিয়ে সারা বছরই ব্যস্ত থাকতে হয়। সমিতিতে সার্বক্ষণিক সময় দেওয়া সম্ভব নয়। সমিতির জন্য সাংগঠনিক যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্ব দরকার, যারা সব সময় সমিতির কাজ এগিয়ে নেবে। আর আমি মনে করি, শিল্পীদের কল্যাণ ও পাশে থাকার জন্য আমার সভাপতি হওয়ার দরকার নেই। বাইরে থেকেও করা যায়। তবে কমিটিতে থেকে সম্মিলিতভাবে ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সমিতি গতিশীল হয়।

তিনি বলেন, আমি কমিটিতে আছি এবং তাদের সঙ্গে নিয়েই অতীতেও কাজ করেছি, এখনও করবো। আমি সিনেমা নির্মাণ করছি। সমিতির সদস্য ও কলাকুশলী, যাদের প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের নিয়ে কাজ করছি। এতে কিছুটা হলেও তাদের কাজের ব্যবস্থা হচ্ছে। আমি আশা করি, নতুন কমিটি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রযোজক-পরিচালকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরও নতুন নতুন সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ দেখেছি, এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের সিনেমা ও শিল্পীদের প্রতি তাদের ভালবাসা কতটা প্রবল। তাদের এই ভালোবাসা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের চলচ্চিত্রের মানুষদের। সম্মিলিতভাবে আমাদের চলচ্চিত্রকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে।

ডিপজল বলেন, মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান কমিটি ভালো কাজ করেছে। শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সমিতিকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে তাদের শ্রম রয়েছে। আমি আশা করি, নতুন কমিটিও সদস্যদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করবে এবং সমিতির কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।