আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি এই বাংলা মাকে স্বাধীন করেছিল। পাকিস্তানি কারাগারে বঙ্গবন্ধু মুজিব থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলায় ছিল স্বাধীনতার অপূর্ণতা। সেই ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর তার প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মুজিববিহীন বাংলায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইনশাল্লাহ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশ তার সার্থকতা নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই যুদ্ধবিধস্ত দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সেই মুহূর্তে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কোনো প্রভাব ফেলবে কি-না— এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে উৎসব, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সামনে নিয়ে নৌকা মার্কায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। আওয়ামী লীগের ভেতরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নিয়ে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-বিভক্তি নেই, মানুষ ঐক্যবদ্ধ। ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গত নির্বাচনে ৮৪ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। এবার ইনশাল্লাহ লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করবেন।