সংলাপে না এলেও নির্বাচনে আসবে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

SHARE

রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের জন্য খারাপ খবর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

এ সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে আসবে না, এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য খারাপ খবর। তবে, গাধা যেমন পানি ঘোলা করে পানি খায়, বিএনপিও পানি ঘোলা করে নির্বাচনে আসবে।

বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে আসবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের নির্বাচনে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। কারণ তারা জানে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অর্জনে জনগণের ভোটে বিএনপি জয়লাভ করতে পারবে না। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, এটা হলো তাদের এজেন্ডা।

নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার বিষয়ে সংলাপে অনেক রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়েছে, এক্ষেত্রে আইন করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারই আইনটা হতো, মহামারির কারণে সম্ভব হয়নি। এবার না হলে আগামীবার হবে। এবার সময় একেবারেই হাতে নেই। এ সময়ে আইন করার মতো পরিস্থিতি একেবারেই ছিল না। সার্চ কমিটি গঠন, যেটা এবার হচ্ছে, গতবারও হয়েছে। সেটাও আইনের বাইরে নয়, নিয়মের বাইরে নয়, সংবিধানের বাইরে নয়।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়লাভ করবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গত দুই নির্বাচনে আমরা নারায়ণগঞ্জে জয়লাভ করেছি। এবারও জয়লাভের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি, বিজয়ের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। জনমতের সমর্থনের পাল্লা আমাদের প্রার্থীর দিকেই ভারী। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দল করলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাট কিছু হয়ে থাকলে, সেটা নিরসন হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।