বিটিভির মান নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

SHARE

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ৫৭তম বছর শেষ করে ৫৮ তম বছরে পা রেখেছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় এই টেলিভিশন চ্যানেলটি পালন করছে ৫৮তম বর্ষপূর্তি।

দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকেলে রামপুরার বিটিভি কার্যালয়ে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। এ উপমহাদেশে তথা সমগ্র বিশ্বে এটি প্রথম বাংলা ভাষার টিভি চ্যানেল। ভারতেও টেলিভিশন চালু হয় আমাদের পরে। সুতরাং বিটিভি একটি প্রাচীন চ্যানেল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে এখন ৪৫টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়া আছে, ৩১টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, বাকিগুলো সম্প্রচারের অপেক্ষায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো যারা পরিচালনা করছেন এবং প্রথিতযশা যেসব টিভি সাংবাদিকরা রয়েছেন, তাদের অনেকেরই হাতেখড়ি বাংলাদেশ টেলিভিশনে। তাই বিটিভি হচ্ছে টেলিভিশন চ্যানেলের আতুরঘর। এখন বিটিভির চারটি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই আমরা আরো ৬টি চ্যানেল চালু করতে যাচ্ছি। বিটিভি, বিটিভি চট্টগ্রাম এবং সংসদ বিটিভি এ তিনটি টেরেস্ট্রিয়াল চ্যানেল ক্যাবল নেটওয়ার্ক ছাড়া এবং ক্যাবল নেটওয়ার্কেও সারাদেশে সবাই দেখতে পায়। একইসঙ্গে মোবাইল এপসের মাধ্যমে সারা বিশ্বে সবাই দেখতে পায়।

এসময় দেশ গঠনে এবং আবহমান বাংলার সংস্কৃতি লালনের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়ে আসছে এবং আজকে এইচডি সম্প্রচার উদ্বোধনসহ বিটিভিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সম্প্রচারমন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে এত দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও বিটিভি কাঙ্ক্ষিত দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে কি না, না পারলে কেনো পারেনি?

এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিটিভির দর্শকপ্রিয়তা কমেনি। দেশে এখন অনেক চ্যানেল থাকায় দর্শক ভাগ হয়ে গেছে। বরং বিটিভির মান বেড়েছে।