উন্নয়নের সঙ্গে জমির প্রাপ্যতা অব্যাহতভাবে কমছে: ভূমিমন্ত্রী

SHARE

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে জমির বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে জমির প্রাপ্যতা অব্যাহতভাবে কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৩১তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ কমিটি ৫০ বিঘা পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন দিতে পারে। এর বেশি জমি হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে জমির বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে জমির প্রাপ্যতা অব্যাহতভাবে কমে যাচ্ছে। মূল্যবান জমির অপচয়রোধে ভূমির টেকসই ও দক্ষ ব্যবহার প্রয়োজন। না হলে এক সময় অতি জরুরি উন্নয়ন কিংবা সেবামূলক প্রকল্পের জন্য আদর্শ জমি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে।’

ভূমির দক্ষ ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অনুশাসন রয়েছে জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এজন্য কৃষিজমি রক্ষার অংশ হিসেবে দুই বা তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।’

প্রত্যাশী সংস্থাগুলোকে ভূমি সাশ্রয়ী ও টেকসই স্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে কম জমির মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। ভূমি অধিগ্রহণের আবেদনের সময় অপরিহার্য ক্ষেত্রের বাইরে অতিরিক্ত জমি না চাওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলায় আলাদা আলাদা ভবনের পরিবর্তে সরকারি অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত ভবন নির্মাণ এবং গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস বা আবাসিক স্থান সংকুলান সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা জানান ভূমিমন্ত্রী।

টেকসই ও দক্ষ ভূমি ব্যবহারে জমির যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি সরকারি সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের যাতায়াতও কমে যাবে। ফলে মানুষের ভোগান্তিও অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, জনসাধারণের প্রয়োজন বা জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় হয়ে থাকে। প্রত্যাশী সংস্থার আবেদনে জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ অনুসরণে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ বা হুকুমদখল করে প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে ন্যস্ত করা হয়।

সভায় ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রত্যাশী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।