বিএনপি’র মধ্যে একটা না রোগ আছে, সবকিছুতেই যেন না: তথ্যমন্ত্রী

SHARE

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে আরো অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারত, যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের দল বিএনপি ও জামাত দেশে নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করতো।’

রোববার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী এবং ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান মানুষ বলে জানতাম, কিন্তু দলকানা হতে গিয়ে তিনি এরকম বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এটা আমাকে আশ্চর্য করেছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানান, উনি শিক্ষিত লোক হয়ে যেন অশিক্ষিতের মতো কথা না বলেন।’

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যাবে না বলেছে- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি’র মধ্যে একটা ‘না রোগ’ দেখা দিয়েছে, সবকিছুতেই যেন না বলা। সংলাপে যাবে না, নির্বাচনে যাবে না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবে না। এখন আমি আশঙ্কার মধ্যে আছি, না না বলতে বলতে বিএনপিটাই কখন নাই হয়ে যায়।’

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, এটি পৃথিবীর সামনে উদাহরণ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল, মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। সেই পাকিস্তান আজ সমস্ত সূচকে পিছিয়ে। এমনকি মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারতকেও অতিক্রম করেছি। দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচের জনসংখ্যা ৪১ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের এসব সমীক্ষা যখন বিএনপি মহাসচিব দেখতে পাননা, তার অর্থ, দলকানা হওয়ার কারণে তিনি দেখেও দেখেন না বুঝেও বোঝেন না এবং স্বীকার করেন না।’

ড. হাছান মাহ্‌মুদ আরও বলেন, ‘বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র কোনো আঞ্চলিক কেন্দ্র নয়। এটা অনেকেই ভুল করেন। এটি টেরেস্ট্রিয়াল চ্যানেল, যার মাধ্যমে কেবল নেটওয়ার্ক ছাড়াও সারা দেশের ৭৫ ভাগ অংশে দেখা যায়। আর কেবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারাদেশেই সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর মোবাইল এপসের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই কেন্দ্রের কার্যক্রম দেখা যায়।’

শীঘ্রই আরও ৬টি বিভাগে বিটিভি কেন্দ্র হবে, তখন বিটিভির ১০টি চ্যানেল হবে, একনেকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে এ কাজ শুরু হবার কথা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আশা করি আজকের এই ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচারের উদ্বোধনের মাধ্যমে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের গণমানুষের দর্পণ হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, চলচ্চিত্র জগৎ সারা বিশ্বে একটি লাভজনক খাত। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমনটা নয়। তথ্যমন্ত্রী একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, যা আমাদের বিনোদন জগতে বিনিয়োগের একটা সুযোগ করে দিয়েছে। তার এই উদ্যোগে একইসাথে মনস্তাত্ত্বিক ও আর্থিক বিনিয়োগ বাড়বে এবং এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, এই সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির মনোজগতের উন্নয়নেও কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।