র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে দেশটির বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না। এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয়েছে র্যাবের দক্ষতার কারণে দেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে। এই বাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে, মানবাধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের এই কথা যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বুঝতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, একটা খুনিকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আটকে রেখেছে (আশ্রয় দিয়েছে)। তারাই আবার আইনের কথা বলে। যে ব্যক্তি (রাশেদ চৌধুরী) মানবতা ভঙ্গ করল, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলল, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছি যে, তোমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও। র্যাব এসব কাজই করছে। তারা (র্যার) শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এই নিষেধাজ্ঞা দেশবাসী গ্রহণ করে নি।
র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা আছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, তারা সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এরকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের) এ রকম কাজ (নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক, তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। তাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে এমন রিপোর্ট করতে।
উনি ( মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনার সুযোগ আছে। আমার এটা ভালো লেগেছে। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর ১০ই ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।