আমাদের ঘাটতি থাকলেও পৃথিবীকে দেখাবার মতো অর্জনও আছে: গওহর রিজভী

SHARE

সুশীল সমাজ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং মানবাধিকারকর্মীদের ছাড়া বাংলাদেশের এত অগ্রগতি সম্ভব হতো না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের ঘাটতি আছে। কিন্তু আমাদের যা অর্জন আছে, তা সারা পৃথিবীকে দেখাবার মতো।

আজ সোমবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

গওহর রিজভী বলেন, আমরা কয়েকটা জায়গায় অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের মাইনোরিটি, উপজাতিরা অনেক পিছিয়ে আছি। তাদের এগিয়ে নিতে না পারলে আমাদের অর্জন পূর্ণ হবে না।

এ সময় সাংবাদিকেরা র‍্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করলে গওহর তা এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমি একটি অনুষ্ঠানে এসেছি। আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এখন এ বিষয়ে কথা বলব না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। তিনি বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, যখন বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপন হচ্ছে।

একাত্তরে কত মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, কত নারী অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সেগুলো ভুলে গেলে চলবে না। বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নের মডেল রাষ্ট্র। অমর্ত্য সেন এটাই বলেছিলেন। আমি বলব বাংলাদেশ সংগ্রামেরও মডেল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সামাজিক শক্তি এবং রাষ্ট্রীয় শক্তি যখন এক সঙ্গে কাজ করতে পেরেছে তখনই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আমরা মধ্যম আয়ের স্বপ্ন দেখছি। এটা শুধু অর্থনৈতিক স্বপ্ন নয়। এটা নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সঙ্গেও সম্পৃক্ত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক খালেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে বহু মেয়ে বাল্যবিয়ের শিক্ষার হচ্ছে। করোনায় দেখা গেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল থেকে হারিয়ে গেছে ৷ এদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মেয়ে। বাল্যবিয়ের কারণেই এমনটা হয়েছে দেখা যাচ্ছে। এদের আবারও স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং কানাডার প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা।