দেশে করোনার সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী

SHARE

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও মৃত্যু- সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ বেড়েছে ১৩.৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে মৃত্যু বেড়েছে ১৭.৪ শতাংশ।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে দেখা গেছে, ৪৮তম এপিডেমিওলজিকাল সপ্তাহে (২৯ নভেম্বর-৫ ডিসেম্বর) এক লাখ ২৯ হাজার ৫৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৬৫৯ জনের। একই সময়ে তাদের মধ্য থেকে ২৩টি প্রাণ হারিয়ে গেছে। ৪৯তম এপিডেমিওলজিকাল সপ্তাহে (৬ ডিসেম্বর-১২ ডিসেম্বর) এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৯২টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৮৮২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩.৪ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭.৪ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কো-মরবিডিটিতে আক্রান্ত করোনায় মৃত্যুও বেড়েছে। গত সপ্তাহে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জনই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি, ক্যানসারসহ কো-মরবিডিটিতে আক্রান্ত। যা শতকরা হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৬৬.৭ শতাংশ।

আরও বলা হয়েছে, করোনায় প্রাণ হারানো কো-মরবিডিটিতে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে, ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ ডায়াবেটিসে এবং ২২ দশমিক ২ শতাংশ হৃদরোগে ভুগছিলেন।

অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৮৫ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭১০ জনে। এ সময়ে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ৩১ জনে।

গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩৩৫ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৮৭ শতাংশের বেশি। আর যারা মারা গেছেন, তারা ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

তবে, গত একদিনে দেশের ৩৬টি জেলায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি; দেশের পাঁচ বিভাগ থেকে কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি।