মানোন্নয়ন করে জয়িতার পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জয়িতা ফাউন্ডেশন। আজ ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ৩৫ জয়িতা নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক ও খাদ্য সামগ্রীর সাতান্নটা স্টল ছিল।
এম এ মান্নান বলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন একটি আধুনিক ধারণা। সংগঠনটি ভবিষ্যতে আগের চেয়ে বেশি সাফল্য লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জয়িতার পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে। জয়িতার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারাদেশে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের বাজারজাত করতে হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলে তাদের সম্মানজনক অবস্থান নিয়ে আসতে এ ফাউন্ডেশনকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ডিসেম্বর ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন। যা হবে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের স্থায়ী ঠিকানা। ১২তলা বিশিষ্ট ‘জয়িতা টাওয়ার’এর অবকাঠামোগত সুবিধা নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াবে।
আলোচনা পর্ব শেষে ছিল জয়িতা নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাকের ফ্যাশন শো ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।