আফগানিস্তানের শিশুদের মানবিক সহযোগিতা প্রয়োজন : ইউনিসেফ

SHARE

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের শিশুরা ঝুঁকছে শিশুশ্রমে। যে বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে পরিবারের হাল ধরতে হচ্ছে তাদের। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা কাটাতে দেশটির অন্তত এক কোটি শিশুর মানবিক সহযোগিতার প্রয়োজন বলছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

আফগানিস্তানে চলা দুই দশকের যুদ্ধের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সেখানকান শিশুদেরকে। পেটের দায়ে সংসারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই জীবিকার খোঁজে নামতে হচ্ছে তাদের। যে বয়সে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে কাজ করে চলছে জীবন।

দেশটির ২০ শতাংশ শিশুই কোনো না কোনো শ্রমে যুক্ত রয়েছে। ফুটপাতের দোকান, জুতা পালিশ, যানবাহন পরিষ্কার ও আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসেবে কাজ করছে তারা।

এমনই একজন হচ্ছেন ওয়ারিস। বাবার চাকরি চলে যাওয়ার পর এখন রুটি বিক্রি করছে সে। তার আয় দিয়েই খাবার জুটছে পরিবারের। অর্থনৈতিক সংকটে তার মতো অনেক শিশুরই এখন শ্রম দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

শিশু ওয়ারিশ বলে, ‘বাবার চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে আমি রুটি বিক্রি করি। আমার ফুটবল খেলতে ভাল লাগে, ইচ্ছা থাকলেও কাজের কারণে তা আর হয়ে ওঠে না।

ওয়ারিসর মতো আরেক শিশু বলেন, ‘আমি জুতা পরিস্কার করি। প্রতিমাসের বাড়িভাড়া, বাড়ির সবার খাবার জোগাড় করতে বাধ্য হয়েই কাজ করতে হয়’।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানান, আফগানিস্তানের এক কোটি শিশুর মানবিক সহযোগিতার প্রয়োজন। এছাড়া ৩২ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এর ফলে মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে ১১ লাখ শিশু। এসব শিশুর জীবনের উন্নয়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার তাগিদ ইউনিসেফের।

সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য বলছে, গত ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে আফগানিস্তানে হতাহত অন্তত ৩৩ হাজার শিশু।