ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত শিল্প কারখানার বয়লার সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
রোববার শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ‘বয়লার বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
শিল্প কারখানায় বয়লার দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে নতুন এ আইন করা হচ্ছে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বয়লার থেকে নিবন্ধন নম্বর অপসারণ, পরিবর্তন, বিকৃত বা অদৃশ্য করে অন্য বয়লার ব্যবহার করলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সনদ ছাড়া বয়লার পরিচালনা করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। নিয়মের বাইরে কেউ বয়লার তৈরি বা আমদানি করলে দুই বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বয়লারের দেওয়াল থেকে স্থায়ীভাবে চিহ্নিত বা সংযোজিত নিবন্ধন নম্বর অপসারণ, পরিবর্তন, বিকৃত ও অদৃশ্য করে অন্য কোনো বয়লার ব্যবহার করলে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটলে বয়লার ব্যবহারকারী, পরিচালনাকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি এর জন্য দায়ী হবেন। দুর্ঘটনা রোধে কেউ যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা নিয়েছেন- এমন প্রমাণ করতে পারলে তিনি দায়ী হবেন না। দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দায়ী ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে খসড়া আইনে বলা হয়েছে।
আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বয়লার পরিদর্শক এবং বয়লার পরিদর্শক থাকবেন। বয়লার বোর্ড থাকবে, সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং সাতজন সদস্য থাকবেন। সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিলে বলা আছে, বয়লার মেরামত করতে হলে প্রধান বয়লার পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। না জানিয়ে মেরামত করা হলে এক বছরের জেল বা এক লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধান পরিদর্শক শুনানির সুযোগ দিয়ে এক লাখ টাকা এবং দ্বিতীয়বার একই অপরাধের জন্য দ্বিগুণ জরিমানা করতে পারবেন।