মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারে তৎপর সরকার

SHARE

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছি। সরকার ইতোমধ্যেই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে। আমরা কোথাও এ ধরনের ঘটনা (হত্যাকাণ্ড) চাই না।’

বুধবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. মোমেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেউ কেউ রাখাইনে নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য মুহিবুল্লাহর আগ্রহকে পছন্দ নাও করে থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে নিরাপদে ফিরে যেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মানব পাচারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা বসে নেই। এগুলো বন্ধে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানকে ঘিরে চলমান বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও বেশ ভালোভাবেই আলোচিত হয়েছে।’

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ (৪৪) নিহত হন। রোহিঙ্গা নেতার এ হত্যাকাণ্ডকে দুঃখজনক উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অধিকাংশই মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন-অভিযান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এ নির্মম ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

বিগত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাও তাদের দেশে ফিরে যায়নি। যদিও মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।