টার্গেট পূরণ না হলে কালও চলবে টিকাদান কর্মসূচি

SHARE

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত টিকাদানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (৭৫ লাখ) পূরণ না হবে ততক্ষণ টিকাদান কর্মসূচি চলবে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির ৮/এ সপ্তডিঙ্গা রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন টিকাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের এই শুভক্ষণে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে আমরা বড় বড় অঙ্কের টিকা এক সঙ্গে দেব। এতে যারা টিকার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছেন, তাদের তালিকা শেষ হবে।

তিনি বলেন, এখন ২৫ বছর পর্যন্ত টিকা নেওয়ার বয়সসীমা রয়েছে। এটিও আমরা ধাপে ধাপে নামিয়ে আনব। আমরা আশা করছি এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তা বাস্তবায়িত হবে।

এদিন টিকাগ্রহীতাদের উপস্থিতি কম কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এর আগে অনেক টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তাই এবার আমরা এসএমএস দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কখন আসতে হবে সেটিও বলে দিয়েছি। তাই ভিড় কম হয়েছে। অনেকের রেজিস্ট্রেশন করার দুই-তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে, তাদের আমরা টিকা দিয়ে দিচ্ছি। কোনো বয়স্ক মানুষ আসলে তাদেরও আমরা টিকা দিচ্ছি। সিদ্ধান্তটা হচ্ছে- আজকে কেউ টিকা না নিয়ে ফিরে যাবে না।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ৭৫ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে। এর আগে আমরা ৩৪ লাখ টিকা দিয়েছি। আজ ন্যূনতম ৭৫ লাখ টিকা দেওয়া হবে। এর পর আমাদের কাছে টিকা থাকলে আমরা এক দিনে ১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার চেষ্টা করব।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা প্রমুখ।