সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক সাত হাজার পয়েন্টের মাইলফলকে পৌঁছেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকেরও বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
আজ লেনদেনের শুরুতেই সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় উত্থান হয়। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩০টির। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। মূল্য সূচকের ভুল গণনা বন্ধ করতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। ৪ হাজার ৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এই প্রথম সাত হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করলো।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের ৬৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার, পাওয়ার গ্রিড, আইএফআইসি ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স এবং জিপিএইচ ইস্পাত।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।