‘বেলুচিস্তানে জাতিগত নির্মূলকরণ বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করা উচিত’

SHARE

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় লেখক তারেক ফাতাহ সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি বলেছেন, বেলুচিস্তানের মূল অধিবাসীদের ওপর যে হত্যা ও নির্মূলকরণে অভিযান চালানো হচ্ছে, তা বন্ধ না করলে তারা তাদের আত্মপরিচয় হারিয়ে ফেলবে। বেলুচিস্তানে জাতিগত নির্মূলকরণ প্রক্রিয়া বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করা উচিত।

তারেক ফাতাহ বলেছেন, এই অমানবিক কাজগুলো অবিলম্বে বন্ধ না করা হলে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো তাদের পরিচয় হারাবে। এসব কাজ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তারা হলো শিল্প মাফিয়া, যারা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে।

কানাডীয় এই লেখকের মতে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে বালুচ রাজনৈতিক দল ও গেরিলা গ্রুপগুলোর একাট্টা হয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ‘বেলুচিস্তান ঘোষণা’ দিতে হবে; যে ঘোষণায় বলা হবে- দুশমন আর এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী নয়, চীনও।

বেলুচিস্তানের অবস্থা ও সে অঞ্চলে চীনা প্রভাবের বর্ণনা দিয়ে তারেক ফাতাহ বলেন, বেলুচিস্তানে এক দশক আগে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চলত, এখনো সে রকমই চলছে। ১৯৪৮, ১৯৫৬, ১৯৬৩, ১৯৭২ ও ২০০৫ সালে বেলুচ লিবারেশন আর্মি-বিএলএ যেভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়েছে, ২০২০ সালেও সেভাবেই লড়ছে। ব্যতিক্রম শুধু একটাই- বেলুচরা এখন অনেক বেশি শক্তিধর দুশমনের মোকাবেলা করছে। এ দুশমন হলো কমিউনিস্ট চায়না।

তিনি বলেন, তথাকথিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে শুধু দখলের সনাতন সরঞ্জামই যুক্ত করা হচ্ছে না, বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদের সংগঠিত উপায়ে লুণ্ঠনও হচ্ছে। বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) পাকিস্তানের শহর-নগরে চীনের স্বার্থ রক্ষাকারী স্থাপনার ওপর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র : সিঙ্গাপুর পোস্ট।