ঘোষিত রেড জোনে থাকবে সাধারণ ছুটি

SHARE

করোনা মহামারীর সময় অধিক সংক্রমিত এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করে দেয়া হবে। এমন ঘোষিত এলাকা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসন। আজ শনিবার তিনি এমন তথ্য জানান। তবে অন্যত্র নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন থেকে শুরু করে সকল কর্যক্রম চলবে।

গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। করোনা মোকাবিলায় ৬৬ দিনের এ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হয় গণপরিবহনও। তবে চলতি মাসে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় এখন এলাকা ভিত্তিক লকডাউন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সংক্রমণের অবস্থা সাপেক্ষে লাল, হুলদ ও সবুজ জোন ঘোষণা করা হচ্ছে।

বেশি আক্রান্ত এলাকাকে লাল বা রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে হলুদ বা ইয়েলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা করোনামুক্ত এলাকাকে সবুজ বা গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়েলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও। লকডাউনের মেয়াদ হবে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত।

উল্লেখ্য. চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেড জোন’ হিসেবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, এখন জোনিংয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঢাকাসহ যে জায়গাগুলো সিভিয়ারলি ইনফেক্টেড (মারাত্মক আক্রান্ত) হয়েছে সেই জায়গাগুলোতে রেড জোন ঘোষণা করে সেগুলোতে বিশেষ ট্রিটমেন্টে চলবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে ছুটি ঘোষণা করা হবে না। যে এলাকা রেড জোন থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেখানে কিছু ভুলত্রুটি বের হয়ে এসেছে। লোকজন এখানে টপকাচ্ছে ওখানে টপকাচ্ছে। যাবতীয় সবকিছু স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আমরা কোনো স্থান লকডাউন করব।’

জোনিং করে লকডাউন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চার-পাঁচটি স্থান রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।