করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদেরকে নগদ টাকা এবং সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ১ জুন থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকাসহ প্রত্যেক কর্মীকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। দেশে লকডাউন চলাকালীন করোনার প্রভাবে ফেরত প্রবাসীকর্মীদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে ৩১ মে ২০২০ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়। ০১ জুন ২০২০ দেশে লকডাউন তুলে নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগদ টাকা বিতরণ বন্ধ করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে যারা দেশে ফেরত আসছেন, এমন প্রবাসীদের বাড়ি ফেরার জন্য ৫ হাজার করে টাকা সহায়তা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এছাড়াও তারা যেনো দেশে ফিরে কিছু করতে পারেন, সেজন্য সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে প্রবাসীদেও জন্য শতকরা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসার পর যেন কোনো ধরনের আর্থিক কষ্টে কিংবা বেকার জীবনযাপন করতে না হয়।
এদিকে, লিবিয়ায় প্রবাসীদেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, লিবিয়ায় এই মানব পাচারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির কোনো সংশ্লিষ্টতা আমরা পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃখলাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। এই মানব পাচারের সঙ্গে যতবড় প্রভাবশালী ব্যক্তিই জড়িত থাকুক না কেন, আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ট্র্যাভেল এজেন্সির লোকজনের এই বিষয়ে জড়িত থাকার প্রমান পেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে কয়েকজন মানবপাচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, লকডাউনের কারণেই প্রবাসী কর্মীদের ৫ হাজার টাকার কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল কিন্তু যেহেতু লকডাউন উঠে গেছে। তাই বিমান বন্দরে প্রবাসীদেরও টাকা দেয়া হবে না।