চারবারের বিধায়কের নাগরিকত্ব বাতিল করল ভারত সরকার

SHARE

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে একজন বিধায়কের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির ওই বিধায়কের নাম রমেশ চেন্নামানেনি। জানা গেছে, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ১৩ পাতার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

তাতে উল্লেখ করা হয়, ওই বিধায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপনের মাধ্যমে প্রতারণা করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সে কারণে ভারতের মানুষের ভালোর স্বার্থে চেন্নামানেনির নাগরিকত্ব বাতিল করা হলো। ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবারো তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিধায়ক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, ২০০৯ সালে এক বছরের জন্য বিদেশ ঘুরতে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভেমুলাওয়াড়ার ওই বিধায়ক। সেই সময় জমা দেওয়া ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদনে তিনি কিছু তথ্য গোপন করেছিলেন। তার কাছে যে জার্মান নাগরিকত্ব আছে তা জানাননি। আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর আগে ভারতে এক বছর বসবাসও করেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে তথ্য গোপন করে ভারতের সরকারকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছেন। তার বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানা থাকলে কর্তৃপক্ষ ওই বিধায়ককে কখনোই ভারতীয় নাগরিকত্ব দিত না।

বিষয়টি জানার পর জনস্বার্থে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হলো। ওই বিধায়ক যে বিধানসভার প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানকার মানুষের কাছে এই ঘটনা একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। কারণ, একটি বিধানসভার সদস্য হওয়ার সুবাদে ওই ব্যক্তি লাখ লাখ মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেতেন।

যদিও এ প্রসঙ্গে ওই বিধায়ক রমেশ চেন্নামানেনি বলেন, এ বিষয়ে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট আগে আমার পক্ষেই রায় দিয়েছিল। কিন্তু, তা না মেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আবারো আমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। তাই আমি আবারো তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।

২০০৯ সালে প্রথমে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ড়ুর টিডিপির হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন চেন্নামানেনি। তারপর ২০১০ সালে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিতে যোগ দিয়ে পুনর্নিবাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। কিন্তু, এর মাঝেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তেলেঙ্গানার এক কংগ্রেস নেতা এ শ্রীনিবাস। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তার নাগরিকত্ব বাতিল করল।