বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে একটি বড় পাতিলে রেখে চুলায় জ্বাল দেওয়া হয়। চুলা থেকে নামিয়ে সেগুলোতে মেশানো হয় সুগন্ধি। এই উপাদানগুলো বিদেশি নামি ব্রান্ডের প্রসাধনীর খালি বোতলে ঢোকালেই হয়ে যায় বেবি লোশন। একইভাবে তৈরি হয় অলিভ অয়েল আর হেয়ার অয়েলও। নকল বোতলে ভরা শিশুদের এসব প্রসাধনী রাজধানীর চকবাজারের পাইকারি বাজারেই পাঠানো হয়। সেখান থেকে চলে যায় দেশের সব জায়গায়। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার আতাসুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমনই নকল প্রসাধনীর পাঁচটি কারখানার সন্ধান পেয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ অভিযানে জনসন বেবি লোশন, জনসন বেবি অয়েল, অলিভ অয়েল, কুমারিকা হেয়ার ওয়েল, ডাবর আমলা তেলসহ ২৬টি বিদেশি পণ্যের নকল বোতলে প্রায় আট কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ করা হয়। এ ছাড়া অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সিলগালা করা হয় পাঁচ প্রতিষ্ঠান।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘এসব বেবি লোশন, বেবি হেয়ার অয়েল ইত্যাদি বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি বাচ্চাদের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এসব নকল সামগ্রী। এসব পণ্য কিনে ক্রেতারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, একইভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।’
অভিযানে গিয়ে র্যাব দেখতে পায়, বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে একটি বড় পাতিলে চুলায় রেখে জনসন বেবি লোশন তৈরি করা হচ্ছে। দেড় ঘণ্টা পর চুলা থেকে নামিয়ে সেগুলোতে সুগন্ধি মিশিয়ে লোশনের নকল বোতলে ঢোকানো হচ্ছে। কারখানায় থরে থরে সাজানো কার্টনে ভরা এসব নকল প্রসাধনী। দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো নকল।