নেতা হওয়ার দৌড়ে মাত্র চারজন টিকে আছেন

SHARE

যুবলীগ নেতাদের বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করে দেওয়ায় চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বর্তমান কমিটির বেশির ভাগ নেতাই বাদ পড়ছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে মাত্র চারজন নেতা হওয়ার দৌড়ে টিকে আছেন। সম্পাদকমণ্ডলীর বেশির ভাগ সদস্যও বাদ পড়ছেন।

দীর্ঘ সাত বছর আগে ২০১২ সালে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন—অধ্যাপক মীজানুর রহমান, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, শেখ শামসুল আবেদীন, চয়ন ইসলাম, ড. আহমদ আল কবির, সাইদুর রহমান শহীদ (শহীদ সেরনিয়াবাত), আলতাফ হোসেন বাচ্চু, জাহাঙ্গীর কবির রানা, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, বেলাল হোসাইন, এনায়েত কবির চঞ্চল, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, আনোয়ারুল ইসলাম, এ বি এম আমজাদ হোসেন, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, নিখিল গুহ, মোতাহার হোসেন সাজু ও ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু। তাঁদের মধ্যে এনায়েত কবির চঞ্চল মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে শেখ মারুফ, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন এত দিন চেয়ারম্যান পদ পেতে তত্পর ছিলেন। কিন্তু গতকাল সোমবার বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারিত হওয়ায় তাঁরা সবাই বাদ পড়ে গেছেন।

তবে বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় অনুজদের অনেকেই নেতৃত্বে আসতে চাইছেন। যুবলীগের সূত্রগুলো জানায়, প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে আতাউর রহমান, বেলাল হোসাইন, আনোয়ারুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন সাজুর বয়স ৫৫ বছরের মধ্যে। এই চারজনের মধ্যে আতাউর রহমান সাধারণ সম্পাদক ও বাকি তিনজন চেয়ারম্যান পদপ্রত্যাশী।

বয়সের কারণেই চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীর তালিকায় যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন নাম। আগে জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রার্থী হওয়ায় যাঁরা চুপ ছিলেন তাঁরাও কাঙ্ক্ষিত পদ পেতে জোরালো তত্পরতা শুরু করেছেন।