ডিআইজি মিজানের দুই মামলার প্রতিবেদন দাখিল ১১ নভেম্বর

SHARE

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত), তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই তারিখ ধার্য করেন। পৃথক আদেশে একই আদালত ডিআইজি মিজান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) এনামুল বাছিরের মধ্যে ঘুষ লেনদেনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একই তারিখ ধার্য করেছেন।

বুধবার এই মামলা দুটির তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় মিজানুর রহমান ও তার ভাগনে মাহমুদুল হাসান কারাগারে আছেন। গত ২ জুলাই পুলিশ মিজানকে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মাহদুদুল গত ৪ জুলাই আত্মসমর্পণ করেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়।

গত ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই মামলায় মিজানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্যদিকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।