কন্যাসন্তান ‘বিক্রি’, তদন্তে গাজিয়াবাদ পুলিশ

SHARE

মাত্র ১০ হাজার টাকায় নিজেদের সদ্যোজাত কন্যাকে অন্য এক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়ার একটি মামলার তদন্ত করছে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ নগর পুলিশ। ওই শহরের বিজয়নগরের বিহারিপুরের এক দম্পতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে। জানা গেছে, তাঁরা তাঁদের ওই কন্যাসন্তানটিকে আদর্শনগরের এক দম্পতির কাছে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তর করেছেন।

পুলিশ জানাচ্ছে, বিজয়নগর থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, ওই কন্যাসন্তানটি গত ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করে এবং ওই দম্পতির আরো চারটি কন্যা ও একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

জানা যায়, মামলার বাদী আকাঙ্ক্ষা পান্ডে গত ১১ সেপ্টেম্বর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পারেন যে, ওই দম্পতি তাদের সদ্যোজাত কন্যাসন্তানটিকে অন্য এক দম্পতির কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

আকাঙ্ক্ষা বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই আমি পুলিশকে জানাই এবং জাতীয় শিশু অধিকার ও সুরক্ষা কমিশনকেও অবহিত করি। সেই সাথে আমি সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও বিষয়টি শেয়ার করি।

তিনি আরো বলেন, এ সময় এক নারী তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে একটি এফিডেবিট দেখান- যেটি ছিল একটি শিশু দত্তক নেওয়ার প্রস্তুতিপত্র। তবে আমি লক্ষ করলাম সেটি দুই বছরের পুরনো এবং অকার্যকর।

এ প্রসঙ্গে জেলা নিরীক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বলেন, যেকোনো দত্তকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হয়। কেউ যদি কোনো শিশুকে দত্তক নিতে চায় তবে তাকে রক্তসম্পর্কিত হতে হবে। আর যদি তা না হয় তবে তাকে সেন্ট্রাল রিসোর্স অ্যাডপশন অথরিটি নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে যেতে হবে।

গাজিয়াবাদের সুরক্ষা কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ওই দম্পতি আমাদের জানিয়েছেন, তাঁরা ওই কাগজটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে পেয়েছেন। যাই হোক, আমরা শিশু সুরক্ষা কমিশনকে অবহিত করেছি। সেই সাথে আদর্শনগরের ওই দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়ে নিয়েছি এবং এমএমজি হাসপাতালের নিউবর্ন কেয়ার সেন্টারে রেখেছি।

উল্লেখ্য, আকাঙ্ক্ষা পান্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজয়নগন থানান পুলিশ আইপিসির ৩৭০ (৬) ধারায় একটি এফআইআর করেছে।

নগর পুলিশ সুপার শ্লোক কুমার বলেন, দুই দম্পতি কেউ কাউকে চেনে না আর তা-ই এই এফআইআরটি হাইলাইটেড হয়। আমরা তদন্ত করে বের করব, এই দত্তক এর মাঝে অর্থের কোনো লেনদেনের ব্যাপার আছে কি নেই।