নরেন্দ্র মোদির ছবির জন্য ট্রেনে আগুন!

SHARE

সিনেমার শুটিংয়ের জন্য যখন অনুমতি চাওয়া হয়, তখন গোধরার ঘটনার দৃশ্যায়ন করা হবে, তা বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রেলস্টেশনে চা বিক্রির দৃশ্যের শুটিং করা হবে। তবে শুটিংয়ের জন্য যদি রেলওয়ের সম্পত্তির ক্ষতি হয়, তাহলে তার জন্য সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’ বললেন ভারতের পশ্চিম রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্র ভাকর। আর পশ্চিম রেলওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খেমরাজ মিনা বলেছেন, ‘গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যটি বিশ্বমৈত্রী রেলওয়ে স্টেশনের এক কোনায় শুটিং হয়েছে। তার জন্য কোনো ট্রেন বা যাত্রীদের সমস্যা হয়নি। শুটিংয়ের জন্য একটা মগ ড্রিল বগি ব্যবহার করা হয়, যা কখনো ব্যবহার করা হয়নি।’

ভাদোদারা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের কর্মকর্তা জয়রাজ গাদভি বলেছেন, ‘আমরা শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হচ্ছে। তাতে বিশেষ দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সেই আবেদনপত্রে ট্রেনের বাইরে দৃশ্য ধারণের কথা বলা হয়েছে। তবে ট্রেনের ভেতরের দৃশ্যের শুটিং হবে মুম্বাইয়ে, সেট তৈরি করে।’

বলিউডে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক। আর তা ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেই মুক্তি দেওয়া হবে। পরিচালক ওমাং কুমারের এই ছবিতে থাকবে নরেন্দ্র মোদির জীবনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত। চা বিক্রেতা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশে প্রধানমন্ত্রী হওয়া—সবই থাকবে গল্পে। দিল্লি থেকে বারোদা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ছবিটির শুটিং হচ্ছে। আরও থাকছে উত্তরাখন্ড আর হিমাচল প্রদেশও। ছবিতে নরেন্দ্র মোদির চরিত্রে অভিনয় করছেন বিবেক ওবেরয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বায়োপিকের শুটিং করতে গিয়ে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়। গত রোববার গুজরাটের প্রতাপনগর ও দাবৈর মাঝামাঝি বিশ্বমৈত্রী রেলস্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে। ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, তাতে ৫৯ জন যাত্রী নিহত হন। এই ঘটনার পর দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা থাকছে এই ছবিতে।

ছবির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক প্রোডাকশন থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে ছবিটি দেশের জনগণের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দেশের নরেন্দ্র মোদির ভক্তরা যদি ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসেন, তাহলেই নাকি বাণিজ্যিক দিক থেকে ছবিটি ব্যবসাসফল হবে।