রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক ওয়ার্ডে স্থানীয় জনতা ও দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
ভাংচুর হয়েছে বাড়িঘর, দেয়া হয়েছে আগুন। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৫ জনকে আটক করেছে।
১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিরল প্রাথর্ী রফিকুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান শাহীন সমর্থকরা জানান, রণচন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৯০০ ভোট পড়ে।
কিন্তু প্রশাসন যে ফল ঘোষণা করে তাতে দেখা যায়, ৭০০ ভোটের হদিস নেই। সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র ঘিরে ফেলে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা ভোট পুনর্গণনার দাবি জানায়।
স্থানীয়রা জানান, এ সময়ে কে বা কারা কেন্দ্রের পাশে নজরুল ইসলামের বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন দেয়। পাশে আফজাল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা আরও জানান, নির্বাচন কর্মকর্তারা এর মধ্যেই বাক্সপেটারা গুটিয়ে চলে যাওয়ার চষ্টো করলে শাহীন ও রফিকুল সমর্থকরা গাছের গুঁড়ি ফেলে ও খড়ে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা কন্ট্রোলরুমে খবর দিলে পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর দেড় শতাধিক সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। তারা অবরোধ সরানোর চষ্টো করলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
এতে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় ২০ জনের বেশি আহত হন। এর মধ্যে এরশাদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি রাবার বুলেটে আহত হয়ে পাশের বিলে অচেতন হয়ে পানিতে পড়ে থাকলে একজনের মৃতু্যর গুজবও ছড়িয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। রাবার বুলেটে আহতদের মধ্যে রয়েছেন শাহীনের স্ত্রী মনফুল বেগম, মনতাজ আলী, শাহীন মিয়া, সাদেক মিয়া, আমেনা বেগম ও মমিন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ হাবিবুর রহমান ও শাহীনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। শাহীনের মামা মোখলেছার রহমানসহ ৫ জনকে আটক করা হয়।
এ নিয়ে জানতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাতে (সাড়ে ৯টা) তারা ফোন ধরেননি।