দেশে আকায়েদের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি

SHARE


নিউইয়র্কের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালের পাতালপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিক আকায়েদ উল্লাহ দেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আজ বুধবার রাজধানী ঢাকার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আকায়েদ উল্লাহ দেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ দেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ এ পর্যন্ত মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে তিনি জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারেন।

ঢাকার পুলিশ সূত্র জানায়, আকায়েদ উল্লাহর স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালককে তাঁদের জিগাতলার বাসা থেকে মিন্টু রোডের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। মূলত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের সেখানে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আকায়েদ উল্লাহ গত বছরের জানুয়ারি মাসে রাজধানীর হাজারীবাগের জিগাতলায় বিয়ে করেন। তাঁর শ্বশুর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের একটি দোকানে কাজ করেন। আকায়েদ উল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামে। সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে এসেছিলেন।

জিগাতলার যে বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকেন, সেই বাড়ির মালিক রহিমা ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ওই পরিবারটি ১৯৯৭ সাল থেকে ভাড়া থাকে। ওই পরিবার খুব বেশি সচ্ছল নয়। গত বছর তাদের সিটি কলেজে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে হয় আকায়েদের সঙ্গে। বিয়ের পর এ বছর জুনে একটি ছেলেসন্তান হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে আকায়েদ এখানে এসে এক মাস ছিলেন।

ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আকায়েদের আচরণ ভালো ছিল।

গত সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ম্যানহাটনে টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশন থেকে বাস স্টেশনে যাতায়াতের ভূগর্ভস্থ পথে বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকায়েদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর ও তিনজন পথচারী সামান্য আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, সাত বছর আগে আকায়েদ নিউইয়র্কে আসেন। ব্রুকলিনে থাকেন তিনি।

আকায়েদ উল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামে। সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে এসেছিলেন।