আগামী নির্বাচনে ইভিএম চায়না খেলাফত মজলিস!

SHARE

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার প্রস্তাব দিয়েছে খেলাফত মজলিস।

রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে আজ বিকেলে দলের পক্ষে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে ৪ নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ শেষে সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে পেশী শক্তি ও কালোটাকামুক্ত করা, নিবন্ধনের শর্ত শিথিল, সকল দলের জন্য নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, নির্বাচনের আগে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ, দলের সকল স্তরে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী রাখার বিধানটি শিথিল করা, সবাইকে নির্বাচনী আচারণ মেনে চলতে বাধ্য করা, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারসহ সরকারি দলের সাথে বিরোধী দলের জাতীয় সংলাপ আয়োজনে উদ্যোগ নেয়া, ২০০৮ সালের পূর্বে সংসদীয় আসন যেমন ছিল তেমন করা, সরকারি কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের পর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময়সীমা ৩ বছর থেকে ৫ বছর করা ও অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করেন।

সচিব বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে কমিশন তাদের জানিয়ে দিয়েছে গাড়ি পোড়ানো বা বোমা মেরে মানুষ হত্যার মতো সহিংস ফৌজদারী মামলা প্রত্যাহারে কমিশন সুপারিশ করতে পারে না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আজ সকালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল এর সঙ্গে সংলাপে বসে কমিশন।

সচিব জানান, ৩০ আগস্ট বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিকেল ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সঙ্গে বসবে কমিশন।

ঈদের পর ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বিকেল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় ইসলামী ঐক্যজোট, ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় কল্যাণ পার্টি ও বিকেল ৩টায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।