বিমান বিধ্বস্তে চাপ বাড়ছে রাশিয়ার ওপর

SHARE

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের ওপর চাপ বাড়িয়ে বিমান বিধ্বস্তের স্থানে পূর্ণ তদন্ত করতে দিতে রাশিয়ার প্রতি দাবি করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
গত বৃহস্পতিবার ২৯৫ জন আরোহী একটি মালয়েশিয়ান যাত্রীবাহী বোয়িং পূর্ব ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় অধিকাংশ নিহত যাত্রী ছিলেন ডাচ।

ওদিকে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহযোগিতা করতে চান কিনা তা প্রমাণের সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। অবশ্য রাশিয়া পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তথ্য যুদ্ধের অভিযোগ তুলেছে।image_91254_0

আমেরিকা ও বৃটেন, রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনের যেখানে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের গিয়ে পূর্ণ তদন্ত করতে দিতে হবে।

ওদিকে বিধ্বস্ত বিমানের ব্লাকবক্স ফ্লাইট রেকর্ডারের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এক রহস্য রয়ে গেছে।

রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীরা বলেছে তারা ওই ব্লাকবক্স পায়নি। রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন নিহতদের মৃতদেহকে চূড়ান্ত অসম্মান করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়ার এই বিমানে দুই শতাধিক ডাচ নাগরিক ছিলেন। রুটে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা দরকার।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন যত দ্রুত সম্ভব নিহতদের মৃতদেহ সৎকারে হস্তান্তর করা। যারা এ কাজে সহযোগিতা করবে না তাদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। মৃতদেহগুলোর প্রতি চরম অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

রুটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, পুতিন তদন্তে সহযোগিতা করতে চান কিনা তা দায়িত্ব নিয়ে দেখাতে হবে এবং বিদ্রোহীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

রুশপন্থী বিদ্রোহীরা ওই ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের সরকার।

বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, বিমান বিধ্বস্ত হবার স্থানটি নিরাপদ নয়। কিছু মৃতদেহ স্ট্রেচার ও প্লাস্টিক ব্যাগে করে সরানো হয়েছে। বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবীরা এসব কাজ করছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের উভয়পক্ষই বিমান বিধ্বস্ত হবার দায় অস্বীকার করেছে। সূত্র: বিবিসি