বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে নিয়ে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, কিছু কিছু কারণে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ওপর আমার রাগ ছিল।
একটির কথা না হয় বলিই, আমাকে দিয়ে কোনো এক পাকিস্তানি ভাট্টির বাঙালী স্ত্রীর জন্য তিনি পলিটিকাল এসাইলামের ব্যবস্থা করিয়েছিলেন, যে কৃতঘ্ন স্ত্রী এসাইলাম পাওয়ার কিছুকাল পর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছিল।
তার এই জঘন্য চরিত্র সম্পর্কে জানার পর আব্দুল গাফফার চৌধুরী কৃতঘ্ন মহিলাটিকে তিরস্কার করেছেন বলে শুনিনি।
আজ গাফফার চৌধুরীর ওপর যত রাগ ছিল আমার, সব জল হয়ে গেল। এতদিনে তিনি কিছু সত্যি কথা বলেছেন। আল্লার নিরানব্বই নাম যে সব কাফেরদের নাম, মোহাম্মদ, আলী, ওসমান, আব্দুল্লাহ, খাদিজা এসব যে কোনো মুসলমান নাম নয়, তা মাথায় সামান্য বুদ্ধি যাদের আছে, তারাই জানে।
মোহাম্মদ তাঁর ৪০ বছর বয়সে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন। তার আগে তিনি এবং তাঁর পরিবার এবং তাঁর বন্ধুরা অন্য ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তাঁরা কেউ মুসলমান ছিলেন না। তাঁরা কেউ তাঁদের অমুসলমান নাম কিন্তু পরিবর্তন করেননি।
গাফফার চৌধুরীর পাশে আছি। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটি লিখেছেন তিনি, যে গান শুনে শত কোটি মানুষ বাংলা ভাষাকে ভালবাসতে শিখেছে। বাংলা ভাষার কসম, গাফফার চৌধুরীর গান বৃথা যেতে দেব না।
আল্লাহর নাম নিয়ে যারা গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে একমত নন, তারাও নিজেদের মত প্রকাশ করুন। সুস্থ বিতর্ক চলুক। কিন্তু কল্লা চাই মুন্ডু চাই এই শয়তানিগুলো বন্ধ হোক।
এক পাল শয়তান ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি চাইছে। ধর্মের মোটা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেশটাকে পুরো অন্ধকার বানিয়ে দিচ্ছে। গাফফার চৌধুরী তো নিতান্তই নিরীহ মানুষ, আল্লাহর ৯৯ নামের কথা বলেছেন শুধু, আল্লার তিন মেয়ের কথা তো বলেননি!