সীমান্তে সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র ষাঁড়াশি অভিযান শুরু

SHARE

bgb armyবিচ্ছিন্নতাবাদি তৎপরতা দমনে বান্দরবান, মায়ানমার ও ভারত সীমান্তে রোববার থেকে সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র ষাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। বান্দরবানের রুমা থানছি ও আলীকদম সীমান্তের  ১৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত টানা এই অভিযান চলবে।

অভিযানের কথা স্বীকার করে অপারেশনাল ট্রাক্সফোর্স অফিসার বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ওলিউর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকায় হলেও এটি নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান। মূলত সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনই এই অভিযানের লক্ষ্য।

বলিপাড়া বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযানে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ২১ প্লাটুন সদস্য অংশ নিয়েছে। সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন, মাদক ও অস্ত্র-চোরাচালান বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই অভিযান।

অভিযানে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন, রুমা বলিপাড়া ও অলীকদম ব্যাটালিয়েন বিজিবি ও সেনাবাহিনীর চারশতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছে। বান্দরবানের মায়ানমার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছে এ ধরনের খবরের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।

এর আগেও গত জুন মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই মায়ানমার সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদি তৎপরতা বেড়ে গেছে। এলাকাটি খুবই দুর্গম ও পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় সীমান্ত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

এই সুযোগে সন্ত্রাসীদলগুলো সহজেই সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করছে। সীমান্তে এই তৎপরতা বন্ধ করতে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ বিজিবির সহায়তাও চেয়েছে।

সীমান্তে কম্বিং অপারেশন শুরুর আগেই বিজিবি মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে অভিযানের বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।

উল্লেখ্য, বান্দরবান ভারত ও মায়ানমারের দীর্ঘ ১৩১ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি নতুন দুইটি ব্যাটালিয়নের আওতায় ৩৫টি বিওপি বসানোর কাজ শুরু করেছে।