২২ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। তাই দলীয় খেলোয়াড়দের উপর ভক্তদের প্রত্যাশার পারদটাও ছিল অনেক উঁচুতে। লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়তে সব পসরায় সাজিয়ে বসেছিল তারকা সমৃদ্ধ আর্জেন্টিনা।
কিন্তু আকাশচুম্বী প্রত্যাশার ওই ম্যাচে গোলের সুযোগ ও পেনাল্টি শুট আউটে ব্যর্থ হয়ে আলবিসেলেস্তে ভক্তদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন নাপোলি স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েন।
চিলির বিপক্ষে অ্যাগুয়েরোর বদলি হিসেবে হিগুয়েনকে সুযোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। আগের ম্যাচে সেমিফাইনালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে একটি গোলও করেছিলেন তিনি।
আর্জেন্টাইন কোচ হয়তো ভেবেছিলেন, এই ম্যাচেও অচলায়তন ভেঙ্গে গোল করতে পারবেন তিনি।
কিন্তু কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি হিগুয়েন। উল্টো গোলের জন্য বেশ কয়েকটা দারুন সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। অবশেষে এলো টাইব্রেকারের লটারি। লিওনেল মেসির সফল প্রথম শটের পর দ্বিতীয় শট নিতে আসেন হিগুয়েন।
কিন্তু প্রত্যশার চাপে ঠিক থাকতে পারেননি নাপোলি স্ট্রাইকার। ফলে তার নেওয়া শটে বল চিলির গোলবারের উপর দিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় গ্যালারিতে। সেই সঙ্গে গোল মিসের উচ্ছাসে লাফিয়ে উঠে চিলিয়ান সমর্থকরা।
হিগুয়েনের ‘কুফা’ পরের শটেও কাটাতে পারলেন না এভার বানেগা। চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটিও ফিরিয়ে দেন। এরপর আলেক্সিস সানচেজের সফল লক্ষ্যভেদের পর লাল উচ্ছ্বাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে।
আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মতে, অঘটনের সূচনাটা করেছেন মূলত হিগুয়েনই। তিনি শটটি পোস্টের ওপর দিয়ে বাইরে না মারলে হয়তো চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো আর্জেন্টিনা। অনেকে তো তাকে ‘ষাঁড়’ বলেও দুয়ো দিতে শুরু করেছেন।
তার ব্যর্থতার পর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন বনেগাও। তাই তার শর্টটি ফিরিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক। তাই ওই ম্যাচে হারের জন্য হিগুয়েনকেই খলনায়ক মনে করছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।