কোপার সেমিফাইনালে ওঠা চার কোচই মেসির দেশের

SHARE

কোপা আমেরিকা ট্রফি হাতে মেসিদের উল্লাস কি দেখা যাবে এবার? চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে আর্জেন্টিনা?

আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে রয়েছে এর উত্তর৷ কিন্তু আর্জেম্তিনীয়দের জন্য এখনই একটা সুখবর রয়েছে৷ চার টিমের মধ্যে যারাই চ্যাম্পিয়ন হোক না কেন, কাপ হাতে আর্জেন্টিনার ভদ্রলোককে দেখা যাবেই৷ চিলি-আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে এবং পেরু, সেমিফাইনালে ওঠা এই চার টিমের কোচই জন্মসূত্রে আর্জেন্টিনার৷

চিলির কোচ জর্জ সাম্পাওলি৷ আর্জেন্টিনার খেরার্দো মার্তিনো৷ প্যারাগুয়ের কোচ রামোন দিয়াস এবং পেরুর রিকার্দো গারেকা৷ এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্যারাগুয়ে কোচ৷ ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে তিনি বলে দেন, ‘এটা খুব গর্বের ব্যাপার৷ এতে প্রমাণ হল, আর্জেন্টিনা শুধু বিশ্বের সেরা-সেরা ফুটবলারদের তৈরি করে তাই নয়, ভালো কোচও তৈরি করে৷’

চিলির সাম্পাওলি ষাটের দশকে জন্মেছিলেন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে-তে৷ এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ফুটবল জীবন অবশ্য উজ্জ্বল নয়৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯, মাত্র দু’বছর নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে খেলার সময় চোটের জন্য হারিয়ে যান তিনি৷ মাত্র ১৯ বছরেই শেষ হয়ে যায় সাম্পোলির ফুটবল জীবন৷ ২০০২ সালে শুরু করেন কোচিং৷ ২০১২ সাল থেকে রয়েছেন চিলির দায়িত্বে৷ ফুটবল জীবনের আক্ষেপ এবার কোচ হিসেবে মিটিয়ে নিতে চান তিনি৷ তার টিমকে এবার কোপার সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নও ধরছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা৷

প্যারাগুয়ের রামোন দিয়াসের বয়স ৫৫ বছর৷ লা রিওজাতে জন্মানো এই স্ট্রাইকার চার বছর খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে৷ দেশের হয়ে দশ গোল রয়েছে তার৷ কোচিং শুরু করেন রিভার প্লেট ক্লাবে, ১৯৯৫ সালে৷ প্যারাগুয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন গতবছর এবং এ বারই চমকে দিয়েছেন কোপায়৷ ব্রাজিলকে হারিয়ে তার টিম সেমিফাইনালে!

রিকার্দো আলবার্তো গারেকা এবারই প্রথম পেরুর দায়িত্ব নিয়েছেন৷ বেশ ভালো খেলছে তার টিম৷ রামোন দিয়াসের মতো তিনিও আশির দশকের শুরুতে বিক্ষিপ্ত ভাবে পাঁচ বছর খেলেছেন আর্জেন্টিনায়৷ ২০ ম্যাচে পাঁচটা গোলও করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড৷ ‘৯৬ সালে প্রথম কোচিংয়ে আসেন৷ ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসেও কোচিং করিয়েছেন৷ পেরুর কোচ হয়েছেন এবারই৷ দায়িত্ব নিয়েই কোপার সেমিফাইনালে৷ সামনে এ বার চিলি৷ এ বারই আসর পরীক্ষা গারেকার৷ বাকি রইলেন আর্জেন্টিনার কোচ খেরার্দো মার্তিনো৷

দেশের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন ১৯৯১ সালে৷ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মার্তিনো বার্সেলোনাতেও খেলেছেন এক বছর৷ কোচ হিসেবেও সামলেছেন বার্সাকে৷ প্যারাগুয়ের জাতীয় টিমের কোচ ছিলেন টানা পাঁচ বছর৷ ২০১১ সালে কোপা ফাইনালে উঠেছিল প্যারাগুয়ে৷ হারতে হয়েছিল উরুগুয়ের কাছে৷ তারপরই দায়িত্ব ছাড়েন মার্তিনো৷ এবার কি আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করে স্বপ্নপূরণ হবে?

সে সব পরের কথা৷ আপাতত, আর্জেন্টিনার সমর্থকরা এই ভেবেই খুশি হতে পারেন, যাই হোক না কেন, ট্রফিতে ছোঁয়া থাকবে কোনও না কোনো আর্জেন্টেনীয়র হাত৷