‘নির্বাচনে না আসলে আম-ছালা দুটোই যাবে বিএনপির’

SHARE

mayaত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, “বিএনপি জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস করুক না কেন ২০১৯ সালের আগে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। আর এ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির আম-ছালা দুটোই যাবে।”

তিনি বলেন, “দেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কোনো দলের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশের মানুষ তাই প্রত্যাশা করে।”

রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সকল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন মায়া।

বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম নামে একটি সংগঠনের আলোচনা সভায় বলেন, “বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট কখনো ভাঙবে না। আমরা ২০ দল করি। আমরা কিভাবে করব, না করব, কোন দল আমাদের সঙ্গে থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাথা ব্যথার দরকার নেই।”

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, শেখ বজলুর রহমান, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, আওলাদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “খন্দকার মাহবুব হোসেনের কথায় বোঝা যায় শুধু ২০ দলীয় জোট নয়, বিএনপি নামক সংগঠনটিরই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।”

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য মায়া বলেন, “আওয়ামী লীগ পৃথিবীর প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ দলের নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি দেশের জন্ম হয়েছে।”

তিনি বলেন, “১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। তাই বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন।”

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গড়ে ওঠা বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। তাই অচীরেই বিএনপি নামক সংগঠনটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।”

তিনি বলেন, “ভারতের কংগ্রেস আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিল বলে বিএনপি বিজেপির সমর্থন চায় এবং দেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চায়। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু দেউলিয়া হলে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে।”