বলিউডের ৯ জন ওয়ান হিট ওয়ান্ডার

SHARE

one hitতারা এসেছিলেন। ছবি হিট করিয়েছিলেন। তারপর হারিয়ে গেছেন। বলিউডের কয়েকজন ‘হিট’ নায়ক-নায়িকার কথা হচ্ছে। প্রথম ছবিতে বক্স অফিস কাঁপিয়ে তারপর দুয়েকটা ফ্লপ দেওয়ার পর যাঁরা হারিয়ে গেছেন দর্শকের স্মৃতি থেকে।

নীচে সেরকমই শুরুতে চমক জাগিয়ে পরে নিভে যাওয়া ৯ জন ‘ওয়ান হিট ওয়ান্ডার’-এর কথা।

কুমার গৌরব
কুমার গৌরবকে মনে পড়ে? ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাভ স্টোরি’ ছবির সেই মিষ্টি নায়ক অনেক কিশোরী-তরুণীর ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। রাহুল দেববর্মনের সুরে ‘তেরি ইয়াদ আরাহি হ্যায় সুপারহিট হয়েছিল গৌরবের লিপে। কিন্তু প্রথম ফিল্মে আশা জাগিয়ে তারপর সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘নাম’ বা সঞ্জয় গুপ্তার পরিচালনায় ‘কাঁটে’ ছবিতে অভিনয় করলেও দর্শকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হন গৌরব। শেষে বলিউডের তারকাদের ভিড়ে গৌরবের নাম হারিয়ে যায়।

রাহুল রায়
‘আশিকি’ সিনেমার কথা কেই বা ভুলতে পারে? সুরের জাদুতে দর্শকদের মুগ্ধ করা সেই সিনেমায় নজর কেড়েছিল রাহুল রায়ের অভিনয়। পনেরো বছর আগের সেই সিনেমার আবেদন এখনও দর্শকমনে সমান প্রাসঙ্গিক। কিন্তু হারিয়ে গেছেন ছবির নায়ক রাহুল রায়। ‘আশিকি’ ছবির পরে আর একটিও উল্লেখযোগ্য কাজ নেই রাহুলের।

বিবেক মুশরান
সুভাষ ঘাইয়ের ‘সওদাগর’ ছবিতে নবাগত বিবেকের আবির্ভাব আশা জাগিয়েছিল। সুদর্শন এই নায়ক শুধু দর্শকদেরই মন মাতাননি, বক্স অফিসেও ‘সওদাগর’কে সুপারহিট করে তুলেছিলেন। কিন্তু অভিনয়ক্ষমতা ছাড়াও নানাধরনের চরিত্রে অভিনয়ের ঝুঁকি নিতে চাওয়ার অভাব বিবেককে সুপারস্টার হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে দেয়। শোনা যায়, যশ চোপড়ার ‘ডর’ ছবিতে তাকে শাহরুখের চরিত্রটি অফার করা হয়েছিল, কিন্তু বিবেক তা ফিরিয়ে দেন। সম্ভবত বিবেকের জীবনে ওটাই ‘ঐতিহাসিক ভুল’।

গ্রেসি সিং
‘লগন’ ছবিতে আমির খানের বিপরীতে গ্রেসির নরম সৌন্দর্যের আবেদনে মুগ্ধ হয়েছিল তামাম দুনিয়া। অস্কার মনোনীত এই ছবির পরে ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবিতে সঞ্জয় দত্ত-আরশাদ ওয়ারসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছিলেন গ্রেসি। কিন্তু ওখানেই শেষ- তারপরে গ্রেসির কেরিয়ারে আর একটিও উল্লেখযোগ্য ছবি নেই।

ভাগ্যশ্রী
‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবিতে নায়ক সালমান খানের সঙ্গে সঙ্গে নায়িকা ভাগ্যশ্রীও আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছিলেন। প্রথম ছবিতেই সাড়া জাগানো এই নায়িকা অনায়াসেই থাকতে পারতেন বলিউডের প্রথমসারির নায়িকাদের তালিকায়। কিন্তু অসাধারণ প্রতিশ্রুতিবান অভিনেত্রী হয়েও ভাগ্যশ্রী কেরিয়ারের বদলে বিয়ে করে সংসার করায় মন দিলেন, এবং শর্ত দিলেন একমাত্র নিজের স্বামীর বিপরীতেই অভিনয় করবেন। কাজেই পরপর তিনটি ফ্লপ সিনেমা উপহার দিয়ে ভাগ্যশ্রী বিদায় নিলেন বলিউডের ভাগ্যাকাশ থেকে।

ভূমিকা চাওলা
‘তেরে নাম’ ছিল সলমনের ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা। নবাগতা নায়িকা হিসাবে ভূমিকা চাওলা নজর কেড়েছিলেন প্রথম ছবিতেই। মিষ্টি চেহারার সুন্দরী এই অভিনেত্রী এরপরে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও দর্শকমহলে সেভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি কোনোটাই।

আমিশা প্যাটেল
‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবিতে আবির্ভাব হয়েছিল আমিশা প্যাটেল-হৃত্বিক রোশন জুটির। হৃত্বিক বলিউডে নিজের জায়গা করে নিলেও আমিশা প্যাটেল বলিউডকে আর একটাও হিট দিতে পারেননি। ‘গদর- এক প্রেমকথা’ সিনেমা হিট হলেও সেখানে সানি দেওলকে ছাপিয়ে আমিশার উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি। আর তারপরে আমিশা প্যাটেল শুধু ‘কহো না…’-র স্মৃতি হয়েই রয়ে গেলেন দর্শকের মনে।

সোনাল চৌহান
ইমরান হাশমির বিপরীতে ‘জন্নত’ ছবিতে আলাদা করে সোনালকে দর্শকের ভালো লাগলেও পরে বলিউড মনে রাখেনি তাকে। সোনালও দু-একটি ফ্লপ ছবি উপহার দিয়ে শেষঅবধি বলিউডের নায়িকাদের ভিড়ে হারিয়ে গেছেন।