বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেবার লক্ষ্যে এক চুক্তির খসড়া সোমবার বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “সরকার আশা করছে যে আগামি ১৫ জুন ভুটানের থিম্পুতে চারটি দেশের যোগাযোগমন্ত্রীদের যে বৈঠক হবে, তাতেই এটি স্বাক্ষরিত হবে।”
সিদ্দিক বলেন, “এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর এই চারটি দেশের মধ্যে তিন ধরণের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে আছে যাত্রীবাহী যানবাহন যেমন বাস ও প্রাইভেট কার এবং পণ্যবাহী যান।”
অর্থাৎ বাংলাদেশে থেকে কেউ একজন নিজস্ব গাড়ি নিয়েও ভারতের কোনো শহরে বেড়াতে যেতে পারবেন, অথবা ভারতের ওপর দিয়ে নেপালে বা ভুটানে যেতে পারবেন, বলেন সিদ্দিক। আশা করা হচ্ছে ২০১৬-র শুরুর দিকে এর বাস্তবায়ন হবে।
তিনি জানান, ১৫ জুনের বৈঠকের আগেই প্রতিটি দেশ নিজ নিজ মন্ত্রিসভায় ব্যাপারটি অনুমোদন করিয়ে নেবে এবং তার পরই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। সেটি হবে একটি কাঠামোগত চুক্তি। এরপর এর প্রায়োগিক দিকগুলো নিয়ে আরেকটি চুক্তি ও প্রটোকল হবে।
“আমরা আশা করছি ছয় মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করে আগামী বছরের প্রথম দিকের মধ্যেই এটা পরিপূর্ণভাবে চালু করতে পারবো” বলেন তিনি।
যোগাযোগ সচিব বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যেমন, তেমনি ভারত, নেপাল বা ভুটানেরও কোনো পর্যটক তাদের নিজস্ব গাড়ি নিয়ে বা বাসে চড়ে বাংলাদেশে বেড়াতে আসতে পারবেন।”
অবশ্য এ জন্য একটি রুট পারমিট দরকার হবে। প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে ভ্রমণের আগে এই রুট পারমিট নিতে হবে। আর নিয়মিত যাতায়াত করবে এমন বাস বা পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ মেয়াদের জন্য রুট পারমিট পাওয়া যাবে, জানান মি. সিদ্দিক।
তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে এ প্রক্রিয়া হবে সহজ এবং এ জন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হবে না। সূত্র: বিবিসি